বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবলের অবস্থা বেশ শোচনীয়। নারীদের ফুটবলে মাঝে মধ্যে কিছু সাফল্য এলেও পুরুষ ফুটবলের অবস্থা বেশ হতাশাজনক। এর মধ্যে বাফুফের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অবহেলার মতো বেশকিছু অভিযোগও রয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে নেতিবাচক আলোচনায় বাফুফে। অর্থাভাবে নারীদের অলিম্পিক বাছাইয়ে না পাঠানোর পর অর্থ কেলেঙ্কারিতে বহিষ্কার হন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক।
সমালোচনা আরও বাড়তে থাকে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিভিন্ন মন্তব্যে। সমালোচনার মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও শুরুতে কোনো জবাব দেননি জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার। তবে এবার আইনী পদক্ষেপ নিলেন বাফুফে সভাপতি। কাজী সালাউদ্দিনের সমালোচনায় অন্য অনেকের মতোই সরব ছিলেন ব্যারিস্টার সুমন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশকিছু ভিডিও প্রকাশ করে বোর্ড সভাপতিকে ধুয়ে দিয়েছেন এই ক্রিড়া সংগঠক। সালাউদ্দিনের আইনি নোটিশে অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন তিনিও। সমালোচনায় অপ্রকৃত তথ্য ও মনগড়া বক্তব্য প্রদানের দাবি করে ব্যারিস্টার সুমনসহ মোট ১৭ ব্যক্তি/সংস্থাকে আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসির মাধ্যমে আইনি নোটিশ দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি।
এদিকে সুমন ছাড়াও বাফুফে থেকে সদ্য পদত্যাগ করা নির্বাহী সদস্য আরিফ হোসেন মুন, ক্রীড়া সংগঠক শাকিল মাহমুদ চৌধুরীকে এই আইনি নোটিশের আওতায় এনেছেন সালাউদ্দিন। পাশাপাশি গণমাধ্যমে প্রচারিত কিছু সংবাদ এবং গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করা সংবাদকর্মীদেরও আইনি নোটিশ দিয়েছেন সালাউদ্দিনের আইনজীবী।
তবে সালাউদ্দিনের এই আইনি নোটিশ প্রদান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আজমালুল হোসেন কেসি ফিফা থেকে নিষিদ্ধ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের হয়ে মামলা লড়ছেন। সোহাগের মামলা লড়া আইনজীবী দিয়েই সালাউদ্দিন লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে সোহাগের আইনি পদক্ষেপ ইস্যুতে সালাউদ্দিনের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি আরও অনেক স্পষ্ট হয়েয়ে বলে ধারণা ফুটবলসংশ্লিষ্ট অনেকের।
এদিকে সিনিয়র আইনজীবী আজমালুল হোসেনের আইনি নোটিশ গ্রহীতাদের আগামী বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল দশটার মধ্যে উত্তর প্রদান করতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে উত্তর প্রদান না করলে পরবর্তী পর্যায়ে আইনী পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে।